Wednesday 2 November 2016

IPE REVIEW



 আইপিই যার পূর্ণ নাম ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন ইন্জিনিয়ারিং বাংলায় শিল্প ও উৎপাদন প্রকৌশল । কারো যদি আইপিই সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা না থাকে লেখাটা মূলত তাদের জন্য। ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন ইন্জিনিয়ারিং শুনার সাথে সাথেই অনেকে বলে ফেলবে, ও আচ্ছা, ইন্ডাস্ট্রিতে জব করবে কিন্তু কথাটি সম্পূর্ণ ঠিক নয়। আইপিই সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা দিতে এবং আইপিই সম্পর্কে রটিত ভুল ধারণা গুলো দূর করতে এই পোস্টটি লেখা। আইপিই হল ইঞ্জিনিয়ারিং আর ম্যানেজমেন্ট এর সমন্বয়- এক কথায় ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট, যা বর্তমানে বাংলাদেশে ইঞ্জিনিয়ারিং জগতে এক আলোচিত সাবজেক্ট। আইপিই বুয়েটের অন্যতম জনপ্রিয় একটি বিভাগ এবং অন্যান্য সাবজেক্টকে অতিক্রম করে কুয়েট, রুয়েট, শাবিপ্রবি, যবিপ্রবিসহ অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি গুলোতেও প্রথম সারির সাবজেক্ট হিসেবে অবস্থান করছে।

 আইপিই এর সাথে দুটি বিষয় জড়িত । একটি হল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং অপরটি প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং এ মূলত যে কাজগুল করা হয় তা হল অপটিমাইজেশনাল । আইপিই পড়তে আসলেই যে শব্দটা সবচেয়ে বেশি শুনতে হবে তা হচ্ছে অপটিমাইজেশন। খুব ছোট্ট এই শব্দটার যে কত বড় ক্ষমতা তা তোমরা তখনি বুঝতে পারবে যখন সুযোগ হবে প্র্যাকটিকালি কোন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার। সীমিত রিসোর্স ব্যাবহার করে সর্বচ্চ আউটপুট দেয়াই হল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং , এটা হতে পারে ম্যাথমেটিকাল ক্যালকুলেশন , লজিকাল ক্যালকুলেশন বা অন্য কোন উপায়ে ।  আইপিই’র ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল’ যে অংশটা রয়েছে তার মূল লক্ষ্যই হচ্ছে এসব রিসোর্সের(জনবল,অর্থ, ম্যাশিন) সর্বোত্তম ব্যবহার। এইসব রিসোর্স যোগাড় করাটা কিন্তু চাট্টিখানি কথা না। তবে এগুলো যোগাড় করাটা যতটা কঠিন তারচেয়ে আরো কঠিন হচ্ছে এগুলো ম্যানেজ করা। এখানেই জাদুকরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় আইপিই। একটা ফ্যাক্টরিতে ঠিক কি পরিমাণ ওয়ার্কার থাকলে কাজ পারফেক্ট হবে, কোন একটা প্রোজেক্টে কাকে কি দায়িত্ব দিতে হবে, ঠিক কিভাবে প্ল্যান করলে একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রজেক্ট নামানো যাবে, যদি প্ল্যানিং এ কোন চেঞ্জ আসে তখনই বা কি হবে, Factory Layout কি রকম হলে প্রোডাক্টিভিটি আগের থেকে বাড়বে, ঠিক কি পরিমাণ প্রোডাক্ট মজুদ (Inventory) থাকলে সেটা মার্কেট ডিমান্ডকে কভার করে ফেলতে পারবে, প্রোডাকশনের টার্গেটই বা কত হওয়া উচিৎ এই সব কিছুরই ম্যাথমেটিকাল মডেলিং নিয়ে আইপিই তে তুমি পড়বে, লাস্ট ইয়ারে এসে রিসার্চ করবে।
প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ান হয় প্রোডাকশন রিলেটেড জিনিসগুলো । একটা প্রোডাক্ট বানাতে যে কাঁচামাল লাগে তা থেকে শুরু করে একদম ক্রেতার হাতে তুলে দেওয়া পর্যন্ত সব ধাপগুলোর ম্যানেজমেন্ট তুমি এখানেই শিখবে। যেমনঃ একটা চামড়া যার দাম ১৫০০৳-২০০০৳ কিন্তু তা থেকে তৈরি জুতার দাম ৪০০০৳-৫০০০৳। তার মানে এই চামড়া থেকে ফাইনাল প্রোডাক্ট তৈরি করতে মাঝে যে ধাপগুলো আছে তাতে কিছু কিছু মূল্য যোগ হচ্ছে। খুব সহজ কথায় কাঁচামাল থেকে ফাইনাল প্রোডাক্টে আসা পর্যন্ত মাঝখানে যে ধাপগুলো এগুলো হল প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ার এর কাজ । এছাড়াও প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ান হবে অপারেশন্স ম্যানেজমেন্ট যা তোমাকে প্রোডাকশন সিস্টেম নিয়ে জানতে তোমাকে সাহায্য করবে।
যাদের প্রোগ্রামিং ভালো লাগে, কম্পিউটার নিয়ে পড়ে থাকতে ভালো লাগে, নতুন নতুন সফটওয়্যার সম্পর্কে জানতে ভালো লাগে তাদের জন্যও আইপিই বেশ মজার একটা বিষয়। রিসার্চের কাজ করতে গেলেই টের পাবে কত কত সফটওয়্যার ও প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ(জাভা,সি,সি++,শার্প) সম্পর্কে তোমার শেখা হয়ে যাচ্ছে! ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রয়িংয়ে তোমাকে দক্ষ করে তুলবে সলিড ওয়ার্ক্স, অটোক্যাড ও কাটিয়ার কোর্সগুলো।
যাদের মেশিন ভালোলাগে, ম্যাকানিজম ভালো লাগে, একটা জিনিস কিভাবে বানায় তা নিয়ে জানার আগ্রহ রয়েছে তাদের তৃষ্ণা মেটাবে ম্যানুফ্যাকচারিং প্রসেস, ম্যাশিন টুলসের মতো কোর্সগুলো। আইপিই’র প্রোডাকশন সাইডটা পুরোপুরি কোর ফ্যাক্টরির ইঞ্জিনিয়ারিং এর জগতে তোমাকে নিয়ে যাবে। গাড়ির ইঞ্জিন ব্লক থেকে শুরু করে অ্যারোপ্লেনের নোজ পর্যন্ত সবকিছু বানানোর প্রসেস এখানে জানতে পারবে তুমি।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন ইন্জিনিয়ারিংএ সাবজেক্ট হিসেবে ম্যানুফ্যাকচারিং প্রসেস, প্রোডাক্ট ডিজাইন, অপারেশন রিসার্চ, CAD, CAM, ইঞ্জিনিয়ারিং ইকোনোমিক্স, স্ট্যাটিসটিক্স, ইন্ডাসট্রিয়াল ম্যানেজমেন্ট, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, কোয়ালিটি কন্ট্রোল, Engineering Mechanics, থারমডায়নামিক্স, Fundamentals of Electric Circuit Analysis, Electrical Machines, C Programming, Numerical Analysis সহ আরও অনেক বিষয় পড়ানো হয়।

 একটা বিশাল বড় ইন্ডাস্ট্রিকে সফলতা এনে দেয়ার জন্য শুধু মাত্র একটি দুটি জিনিস গুরুত্বপূর্ন তা নয়। বরং সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থেকে শুরু করে, কর্মকর্তা কর্মচারীদের সুযোগ সুবিধা, কর্মক্ষেত্রে তাদের অবদান এবং তাদের বিনোদন সব কিছুই অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত একটি সফল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে দাঁড় করানোর জন্য। একটা প্রতিষ্ঠানের সাফল্য ব্যর্থতা সব কিছুর মাপকাঠি হয়ে দাঁড়ায় তার সামগ্রিক কর্মকাণ্ডের উপর। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছাড়া সাফল্য অর্জন অনেক কঠিন। আর পরিকল্পনার ক্ষেত্রে প্রয়োজন বেশ কিছু বিষয় সম্পর্কে সম্যক ধারনা। যেমন মানুষের মনস্তত্ত্ব, সময়ের প্রভাব ইত্যাদি। একজন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারকে শুধু মাত্র পন্যের মান নিয়ে চিন্তা করলে হচ্ছে না বরং পুরো প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক অবস্থা, সেখানে কর্মচারীদের মধ্যকার অবস্থা সব কিছু নিয়ে কাজ করতে হয় তাকে। ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যানেজমেন্ট এর কম্বিনেশন একসাথে থাকায় আইপিই গ্রাজুয়েটদের চাকুরির ক্ষেত্রের পরিধি বিশাল।
ইন্ড্রাসটিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রধান প্রধান কর্মক্ষেত্রগুলো হল : Manufacturing Sectors, Production Sectors, Apparel Sectors, Service Sectors, Management Sectors, Business Sectors, Safety Sectors, Maintenance Sectors, Energy Sectors, Medical Sectors, Supply Chain Sectors, Textile Sectors.এ ছাড়াও আরও অনেক ক্ষেত্রে ইন্ড্রাসটিয়াল প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারা চাকরী করে থাকে।

 বিভিন্ন কম্পানি বুঝতে পেরেছে তাদের ইন্ড্রাসটিয়াল প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ার দরকার। বিভিন্ন বড় বড় কম্পানিগুলোতে এখন IP বা  IE নামে আলাদা একটা সেক্টর আছে । যেখানে তারা শুধু ইন্ড্রাসটিয়াল প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারদের ই রিক্রুট করছে । যে সেক্টরগুলো আগে অন্য ইঞ্জিনিয়ারা চালাত এখন শুধুমাত্র ইন্ড্রাসটিয়াল প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারাই চালায় । এসব বড় বড় কম্পানিতে প্রচুর চাকরী আছে। তোমরা চাকরী করবে British American Tobacco, Banglalink, Nestle Bangladesh, Grameenphone, Pepsico, Chevron Bangladesh, Lafarge Surmam, Unilever, Marico, Oxylane, PRAN-RFL Group, BeximcoPharma, ACI, Square, Walton, Asian Paints, Berger, Kohinoor Chemicals, Partex, Otobi, Rahimafrooz, DBL Group, HATIL, Bangladesh Oxygen Corporate, Navana Group, BSRM, SQUIRE, PHP, DBBL, Viyellatex, Yahoo!, Intel, Google সহ বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল, দেশি ও বিদেশি কোম্পানীতে।
এছাড়াও রয়েছে টেক্সটাইল ,গার্মেন্টস অ্যারোনটিকেল সেক্টরে অফুরন্ত সুযোগ। পরিসখ্যানে দেখা গেছে ,বাংলাদেশে প্রায় ৫৫০০ টেক্সটাইল কোম্পানী আছে। যার মধ্যে এখনো প্রায় ৪০০০ এর উপরে টেক্সটাইল কোম্পানীগুলোর ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইন্জিনিয়ার দরকার। শুধুমাত্র একটা IE (Industrial Engineer) এর অভাবে কোম্পানীগুলো অন্যান্য কোম্পানীর থেকে কম করে হলেও 10% কম লভ্যাংশ পাচ্ছে। তাই গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করার আগেই ইন্ডাস্ট্রিগুলো জবের অফার করে থাকে।
আইপিই থেকে পরে ভাল চাকরী পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক অনেক বেশি ।

 আইপিই থেকে গ্রাজুয়েশান কমপ্লিট করে পি এইচ ডি-র জন্য অ্যাব্রড যাওয়াও তুলনামূলক সহজ। আইপিই থেকে তোমরা পাচ্ছো প্রোডাক্ট ডিজাইন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল রোবটিক্স ,ক্যাড, ক্যাম সহ আরও আনেক বিষয় নিয়ে হায়ার স্টাডিজ এর সুযোগ। তুমি তোমার দক্ষতা ও পছন্দ অনুযায়ী যেকোনটি বেছে নিতে পারো। তোমরা MSc/PHD করার সুযোগ পাবে নামকরা সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেমনঃ Georgia Institute of Technology; Vanderbilt University; Florida State University; University of British Columbia; Arizona State University; University of Michigan, Ann Arbor; Monash University; University of New South Wales; West Virginia University; University of Queensland; IIT; North Dakota State University; University of Alberta; Mississippi State University; State University of New York; National University of Singapore; McGill University, Canada; University of Texas, Arlington সহ আরো অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে।

 তুমি কোন ডিপার্টমেন্টে পড়বে সেটা তোমাকেই ঠিক করতে হবে কেননা পড়বে তুমি নিজেই। সাবজেক্ট চয়েজ অনেক চিন্তা-ভাবনা করে নিতে হয়। বর্তমান সময়ে কিছু ভালো সাবজেক্ট আছে যেগুলো থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী পাশ করে বের হয়। ফলে সাবজেক্ট অনেক ভালো হওয়ার পরেও তীব্র প্রতিযোগিতা ও অনেক বেশি সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী হওয়ার জন্য ঐ ফিল্ডে চাকরি পাওয়া অনেকটাই কঠিন হয়ে যায়। চাকরির বাজারে এই সাবজেক্ট গুলোর প্রতিযোগিতা অনেক অনেক বেশি। তাই এই সাবজেক্ট গুলো থেকে পাশ করে বের হয়ে ভালো চাকরি পেতে হলে অনেক অনেক দক্ষ হতে হবে, শুধু পাশ করলেই হবে না। অপরদিকে, এমন কিছু সাবজেক্ট আছে যেগুলোর ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা খুবই কম কিন্তু চাকরির বাজারে ডিমান্ড বেশ ভালোই। এগুলো থেকে পাশ করে বের হওয়ার পরে চাকরি পাওয়াটা তুলনামূলকভাবে অনেক সহজ কারণ আর কিছুই নই প্রতিযোগিতা অনেক কম।  এমনই একটি সাবজেক্ট হল আইপিই। আইপিই তে পড়লে তুমি চাকুরীকে নয় চাকুরী তোমাকে খুঁজবে। ক্যারিওর নিয়ে চিন্তিতদের আইপিই ইচ্ছাধীন নয়, আইপিই হয় তাদের প্যাশন। যেসকল শিক্ষার্থীদের গতানুগতিক সাবজেক্ট পরিহার করে ব্যতিক্রমী সাবজেক্ট নিয়ে পড়ার তীব্র ইচ্ছা,তাদের স্বাগত জানাই আইপিই পরিবারে।জীবনে সফলতার জন্য অনেক সময় ঝুঁকি নেয়ার প্রয়োজন হয়।হোক না সেটা নতুন সাবজেক্ট আইপিই নিয়ে পড়ার ঝুঁকি!


আইপিই’র সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিকটা হচ্ছে এটাই যে আইপিই তোমাকে শেখাবে কিভাবে নিজেকে প্রেজেন্ট করতে হয়। বেশিরভাগ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্র্যাজুয়েটদের একটা কমন সমস্যা থেকে যায় যা হচ্ছে তারা অনেক কিছু জানলেও দেখা যায় তা দশজনের সামনে বলে উঠতে পারেনা, হয়তো ঐ দশজনের চেয়ে সে কিছুমাত্র কম না বরং বেশিই জানে কিন্তু প্রকাশ করতে পারে তার সামান্যটুকুই। আইপিই এক্ষেত্রেই অন্যদের থেকে ব্যতিক্রম। আইপিই তোমাকে শিখিয়ে দেবে কিভাবে দশজনের মাঝখানে দাঁড়িয়ে নিজের কথাটুকু বলতে হয়। কিভাবে অন্যদেরকে বিশ্বাস করিয়ে ফেলানো যায় যে তোমাকেই তাদের দরকার, তুমিই পারবে!

 মেয়েদের পড়ার জন্য আইপিই অনেক সুন্দর একটি বিষয় ।  অনেক মেয়েই মনে করে থাকে আইপিই জব সেক্টর ফেস করা তাদের পক্ষে একটু কষ্টকর। কিন্তু দেখা গেছে অনেক ক্ষেত্রে মেয়েরাই বেশী এগিয়ে। আইপি ইঞ্জিনিয়ারদের অধিকাংশ কাজ কাগজ-কলম ও কম্পিউটার এ। এজন্য আইপিই মেয়েদের জন্য একটি যুগপযোগী সাবজেক্ট । নিজের সুন্দর ও উজ্জ্বল ভবিষ্যত রচনায় আইপিই হতে পারে তোমাদের সহায়ক।
  
 বর্তমান সময়ে প্রকৌশল শিক্ষার প্রভাব পৌঁছে গেছে সারা বিশ্বে। আমাদের দেশও এই বলয়ের বাইরে নয়। আর অসংখ্য প্রকৌশল শিক্ষার ভেতরেও কিছুটা ভিন্ন ধরনের প্রকৌশল শিক্ষা এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং। নেতৃত্বগুন, সাবলীল চিন্তাভাবনা আর সৃষ্টিশীল মনোভাব এ পেশায় একজন মানুষকে এনে দিতে পারে অবারিত উন্নতি। আর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারদের ক্যারিয়ার উদাহরন হিসাবে টিকে আছে আকর্ষনীয় জীবনের।
 বর্তমানে বাংলাদেশে বুয়েট, রুয়েট, কুয়েট, সাস্ট, যবিপ্রবি, আহসানুল্লাহ ও বিএইউএসটি তে আইপিই পড়ানো হয়ে থাকে। বুয়েটে সিট সংখা-৩০, রুয়েট-৬০, কুয়েট-৬০, সাস্ট-৫০, যবিপ্রবি-৩৫, আহসানুল্লাহ-১০০,এমআইএসটি-১০০ এবং বিএইউএসটি তে- ১০০  টি আসন রয়েছে। বিএইউএসটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হলেও সৈয়দপুর ক্যান্টরমেন্ট বাংলাদেশ আর্মি এর একমাত্র ইলেকট্রিকাল &মেকানিক্যাল ছেন্টার হওয়ায় বিএইউএসটি আইপিই-তে ল্যাব ফ্যাসিলিটি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যথেষ্ট ভাল।